Tuesday, February 5, 2019

"School of Awareness" Vs "ধুর, কী এমন হবে"!


আমাদের সকল বৃহৎ স্বাস্থ্যক্ষতি ও দৈনন্দিন দুর্ঘটনা/ ঝঞ্ঝাট এর প্রধান কারণ 'ধুর, কী এমন হবে' মানসিকতা!

আমরা এখন কথা বলবো আমাদের একটি চিরাচরিত স্বভাব "ধুর, কী এমন হবে" এ বিষয়ে। গবেষণায় দেখা যার আমাদের জীবনে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই বড় কোনো সমস্যার উৎসই হচ্ছে এই 'ধুর, কী এমন হবে' মানসিকতা। এই কারণেই দেখা যায় আমরা আমাদের জীবনে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বড় কোনো সমস্যার সুত্রপাতটা করে থাকি এই 'ধুর, কী এমন হবে' এর মাধ্যমে।

যদি বলি, "মাত্রাতিরিক্ত লবণ খাওয়া যাবে না" - 'ধুর, কী এমন হবে'।
যদি বলি, "বিকল্প উপায় থাকলে মশার কয়েল ব্যবহার করবেন না" - 'ধুর, কী এমন হবে'।
যদি বলি, "বাসায় গ্যাসের চুলা ব্যবহার করলে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকবেন" - 'ধুর, কী এমন হবে'।

এমনিভাবে আমাদের প্রতিনিয়ত করে যাওয়া সমগ্র 'ধুর, কী এমন হবে'র ফলে বিভিন্ন বড় ধরণের সমস্যার উৎপত্তি হচ্ছে। একটি গল্প বলি- আমাদের অনেকেরই মাটির ব্যাংক ছিল না? এক দুই টাকার কয়েন প্রায়ই মাঝে মাঝে রাখা হতো। আমরা কিন্তু লিখে রাখতাম না যে কত রাখলাম; কারণ এটা লেখার বা হিসাব রাখার মতো কোনো বিষয় নয়। কিন্তু একদিন যখন ভরে যেতো তখন ভেঙ্গে দেখা যেতো ঠিকই এক হাজার বা বারোশত টাকার মতো হয়েছে। আপনার যদি পূর্ব অভিজ্ঞতা না থেকে থাকে কিংবা কারো কাছে এ বিষয়ে শুনে না থেকে থাকেন তাহলে দেখবেন আপনি আসলে ধারণা করেননি যে এত টাকা সেখানে জমা হয়েছে; আপনি হয়তো অনেক কম ধারণা করেছিলেন।

আমাদের জীবনে 'ধুর, কী এমন হবে' এর ফলফলটাও ঠিক এই মাটির ব্যাংকের গল্পের মতোই।
ঠিক এমনিভাবেই আমাদের জীবনে ছোট ছোট অনেকগুলো 'ধুর, কী এমন হবে' একত্রে মিলিত হয়ে সম্মিলিতভাবে আমাদের স্বাস্থ্যগত দিক থেকে ফুসফুস, হার্ট, লিভার, কিডনি ইত্যাদি অঙ্গ প্রত্যাঙ্গের বড়ো সমস্যা ছাড়াও অপরেশন করতে হয় এরূপ রোগ-ব্যাধি এবং বিভিন্ন স্বাস্থ্যগত সমস্যার সৃষ্টি করছে।
এমনকি এই 'ধুর, কী এমন হবে'র কারণে আমাদের লাইফে দৈনন্দিন চলাফেরার মাঝেও বিভিন্ন দুর্ঘটনার উৎপত্তি হচ্ছে।
মাটির ব্যাংক ভাঙ্গার পর যেমন আমাদের অভিজ্ঞতা হয় তেমনি 'ধুর কী এমন হবে' এর ফলে দূর্ঘটনা ঘটার পর আমাদের বাস্তব অভিজ্ঞতা হয়।

যেসব ক্ষেত্রে কোনো ধীরগতির প্রক্রিয়া ধীরে ধীরে আমাদের ধ্বংস সাধন করছে সেসব ক্ষেত্রে আমরা সাধারণত সচেতন হই না বা গুরুত্ব দিই না; কারণ সেটা সেই মুহূর্তে বড় কোনো ধরনের প্রভাব ফেলে না, কিন্তু আমাদের উচিত এই বিষয়ে সচেতন হওয়া কারণ আমরা গুরুত্ব দেই না বলেই ধীরে ধীরে তা একসময় আমাদের বড় ধরনের অনিষ্ট সাধন করে থাকে।

তাহলে আমরা যদি এই 'ধুর, কী এমন হবে' কে আমাদের লাইফ থেকে বিদায় জানাতে পারি তাহলেই আমাদের জীবনের অনেক সম্ভাব্য বড় বড় সমস্যা থেকে আমরা মুক্ত হতে পারবো এবং সেসব সমস্যা আমাদের লাইফে আসার সুযোগটাই পাবে না; And thus we will be able to implement the theory "Prevention is better than cure."

আর লাইফের কোন কোন ক্ষেত্রে "ধুর কী এমন হবে" মানসিকতাকে ঝেড়ে ফেলতে হবে তা জানতে 'School of Awareness' এর সাথে থাকুন।

এখন বিষয় হচ্ছে, এই 'ধুর, কী এমন হবে' কে লাইফ থেকে দূর করাটাও খুব একটা সহজ কাজ না। যখন আমরা এই 'ধুর, কী এমন হবে' স্বভাবকে আমাদের লাইফ থেকে বিদায় করতে যাবো তখন আমাদের দুই তিনটা এরূপ সমস্যার উদ্ভব হবে যা নিম্নরূপ-

এই পদক্ষেপ শুরু করতে গেলেই বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় আমাদের একটি উদ্ভব মানসিকতা তা হলো, 'ওটা করেছি, এটা করতে আর কী!'। এই চিন্তাটা আমাদের আর শুরুটাই করতে দেয় না; তাই এই চিন্তা ঝেড়ে ফেলে দিয়ে শুরুটা অন্তত করুন।

আবার মনে হতে পারে ওটা তো করতে পারি নি, এটা করে আর কতটা লাভ হবে? কিন্তু না, যতটা সম্ভব পরিহার করুন। একটু হলেও তো হবে; সেটাই বা কম কীসে?
প্রতিদিন একটু একটু করেই কিছুটা করে একসময় সব মিলিয়ে অনেকখানি ইতিবাচক কিছু হবে।

মনে রাখবেন প্রভাব যতই ছোট হোক নানাবিধ প্রভাব একত্রে বড় মাপের অনিষ্ট সাধন করে। তাই হিসাবটা এভাবে করবেন, প্রভাব বা পদক্ষেপ যেটাই হোন না কেন "ছোট ছোট বালুকণা, বিন্দু বিন্দু জল, গড়ে তোলে মহাদেশ, সাগর অতল"।

তাহলে এখনই শুরু করুন, আসুন শুরু করি- Let's do it...

Note: আমার লেখা চুরি করার অভ্যাস যাদের আছে তারা কান খুলে শুনুন; এই লেখাটি ইলেক্ট্রিক মেথড কপিরাইটেড। এবার যদি আমার এই লেখাটি কোনো ওয়েবসাইট বা ব্লগ কপি করে তাদের আর্টিকেল হিসেবে চালিয়ে দেয় তাহলে তাকে আমি ছাড়বো না, কপিরাইট আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবো।

© মোঃ মেহেদী হাসান
প্রতিষ্ঠাতা,
School of Awareness

ভালো থাকুন | School of Awareness

No comments:

Post a Comment